জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ- ফরিদপুরে কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিবের সাথে পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৫ মার্চ শুক্রবার সকাল ৯.৩০ টায় শহরের গোবিন্দপুরে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনকারী কৃষাণী সাহিদা বেগমের বাড়ী সংলগ্ন মাঠে এ মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ফরিদপুর সদরের প্রায় অর্ধশত পেঁয়াজ চাষী উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরুর পুর্বে অতিথিরা ফরিদপুরের সেরা পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনকারী কৃষাণী সাহেদা বেগমের পেঁয়াজ বীজের মাঠ পরিদর্শন করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের আয়োজনে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (গাজিপুর) এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ বেনজির আলম, ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডঃ হজরত আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী।

প্রধান অতিথি বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের যে পরিমান খাদ্য প্রয়োজন ছিলো তা থেকে চল্লিশ লক্ষ মেট্রিক টন কম উৎপাদন হতো। কিন্তু বর্তমানে চার গুন বেশী খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। খাদ্যে আমরা এখন প্রায় সয়ংসম্পন্ন। ইতিপুর্বে আমাদের দেশে শুধু শীতকালে পেঁয়াজ উৎপাদন হতো কিন্তু এখন সারা বছর পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার ৮০/১০০ টাকায় সার কিনে কৃষকদের হাতে ১৫/১৬ টাকায় তা পৌঁছে দিচ্ছে। সরকার এ রকম বিভিন্ন পণ্যে ভর্তুকি দিচ্ছে যেন কৃষক তার ফসলের উৎপাদন অব্যাহত রাখে। পেঁয়াজ যেন আর কখনো দুইশত টাকা কেজি কিনতে না হয় সে লক্ষে সরকার কাজ করছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা খাদ্যে সকল প্রকার ঘাটতি পুরন করতে সক্ষম হবো এবং খাদ্যে সয়ংসম্পন্ন হবো। এর মাধ্যমে আমরা জাতির জনকের ক্ষুধামুক্ত দেশ গঠনে ভুমিকা রাখবো।